পড়া লেখা নিয়ে অনুপ্রেরণার গল্প |
Table of Content (toc)
পড়া লেখার টিপস ২০২১
যখনই পড়তে বসি তখনই মনে পড়ে বেস্ট ফ্রেন্ডের কথা , গার্লফ্রেন্ডের কথা , মনে পরে খেলার করার কথা , ফেসবুকের কথা, মনে হয়ে যায় ওয়েব সিরিজ দেখা, আরও কত কি ?
যখনই পড়তে বসি মনে হয় পড়াশুনাটা কেন এত বোরিং ? যখনই পড়তে বসি, মনে হয় সিলেবাসটা কেন এত বড় ? যখনই পড়তে বসি বই খোলার দশ মিনিট পরেই বই বন্ধ করে রেখে দিতে ইচ্ছে করে। বই নিয়ে তো দিনে আট ঘণ্টা বসে থাকি, সবাই ভাবে পড়ছি, কিন্তু কেউ তো ভেতর-কার আসল খবরটা জানে না । বই তো খোলা থাকে আট ঘন্টা , কিন্তু তার মধ্যে টেনেটুনে এক ঘণ্টাও পড়ি কিনা সন্দেহ । সাত ঘণ্টা তো ওভার থিংকিং, ওভার থিংকিং , আর ওভার থিংকিং । "পড়া লেখা নিয়ে অনুপ্রেরণার গল্প "
বন্ধু এটা আমার তোমার বা কোনো একজনের কথা বা গল্প নয়। এটা আমাদের মধ্যে বেশির ভাগ স্টুডেন্ট এর-ই গল্প । সারা বছর তো আমরা পড়তে বসে, পড়ার টেবিলে-ই পড়া ছেড়ে নিজের গোল ছাড়া নিজের লাইফ এর পারপাস ছাড়া বাকি সব ব্যাপারে চিন্তা করে থাকো । আর নিজেকে ফুল স্যাটিসফাইড দেও, যে আমি ডেইলি আট ঘণ্টা করে বই নিয়ে পড়া শোনা করেছি । আর যখন কোন টপার বন্ধুকে জিজ্ঞেস করো সে বলে , আমি তো মাত্র চার ঘণ্টা করে পরেই টপ করে ফেলেছে । তখন তুমি মনে মনে বল সালা চালাক কোথাকার শুধু মিথ্যে বলে । কিন্তু সে সবসময় কিন্তু মিথ্যে বলে না । সে তার চার ঘণ্টাই বই নিয়ে বসে ওভার থিংকিং, করার কথা বলে না । কিন্তু সে চার ঘন্টা মন দিয়ে পড়ার কথা বলে ।
পড়াশোনা হোক কিংবা কাজ, অতিরিক্ত পরিমাণের থেকে সর্বদাই সঠিক পরিমাণ কিন্তু বেশি বেটার হয়। একজন মানুষ আধঘন্টা, দশ ঘণ্টা কিংবা বারো ঘণ্টা বই নিয়ে বসে থেকেও যতটা জ্ঞান অর্জন করতে পারবে না , হয়তো ঠিক অন্য একজন মাত্র চার থেকে পাঁচ ঘন্টা পরেই তার থেকে অনেক বেশি জ্ঞান অর্জন করতে পারবে ।
তবুও একটা প্রশ্ন থেকে যায় আমি কোন সাবজেক্ট কতটা সময় ধরে পড়ব
এই প্রশ্নে আমি বলব যে , এই কোশ্চেনটার মধ্যেই কিন্তু একটা বড় ভুল রয়েছে, তুমি কত ঘন্টা পড়ছো সেটাই ফোকাস করার বদলে, সব সময় তুমি দেখো বা ভাব যে, আমি কি মনোযোগ দিয়ে পড়ছি, না মনোযোগ সহকারে পড়ছি না ? মনোযোগ এর সঙ্গে দিয়ে পড় আর তুমি তোমার টাইম টা বেধে নেও যে, ওই টাইম বা ওই সময় টা নিশ্চিত করো যে , ওই এক ঘন্টা পৃথিবীর কোনো ভাবে তুমি ডিস্টার্ব না হও । যাতে তোমাকে কেউ ডিস্টার্ব করতে না পারে । ওই এক ঘন্টা না ফেসবুক না, হটস অ্যাপ না , গেম না , কোন বন্ধু না বা আর না অন্য যেকোনো বিষয়ে চিন্তা করা যাবে না ?
সারা বছর প্রচুর পড়ার পরেও যদি দেখো যে , তোমার মনে হচ্ছে কিছুই তেমন পড়া হয়নি, তাহলে বুঝে নিও যত গন্ডগোল মূল ওভার থিংকিং আর সোশ্যাল মিডিয়ার ডিসট্রাকশন পাকিয়েছে। এই দুটো জিনিসকে ইচ্ছে মতো ব্যবহার করে দেখো, তুমি যতটা টাইম পড়ো তার হাফ টাইম পরেই তুমি অনেক বেশি প্রোডাক্টিভিটি দিতে পারবে । যদি তুমি পড়তে বসার আগে পাঁচ মিনিট সোজা সুজি হয়ে বস , চোখ বন্ধ করে নিজের নিঃশ্বাসের উপর ফোকাস কর,আর নিজের মন কে শান্ত ও চিন্তা মুক্ত করো । নিজের মাইন্ডকে অ্যাপোর্মেশন দাও, যেই এক ঘন্টা ফুল মনোযোগ এর সঙ্গে শুধুই পড়বো । তারপর পড়তে শুরু করো , এক ঘন্টা পড়ার পরে দরকার হলে পনেরো মিনিটের ব্রেক নিয়ে নাও । আর তারপর সেম প্রসেস আবার রিপিট করো । "পড়া লেখা নিয়ে অনুপ্রেরণার গল্প "
অনেকেই অনেক রকম বলে
এই যে অনেকে বলে না এই ছেলে বা মেয়ে অনেক কম টাইম পরে অনেক বেশি ভালো রেজাল্ট করেছে । তার আসল রহস্য কিন্তু এটাই । আসলে সে কিন্তু কম টাইম পড়লেও সেই সময় শুধুই পড়েছে । আর বাকিরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর সমস্ত চিন্তাও করেছে । এর মধ্যে ফেসবুক ও করেছে গেমও খেলেছে, সুযোগ পেলে একটু ঘুমিয়েও নিয়েছে । কিন্তু তুমি অনেক বুদ্ধিমান তুমি নিশ্চয়ই এবার থেকে তাদের মতো করবে না । তুমি স্মার্টলি কাজ করবে, তুমি নিশ্চয়ই এবার থেকে পড়ার টাইমে শুধুই পড়বে । সামনে অনেকেরই এক্সাম আসছে , তাই তোমরা এক্সামের আগে এক্সাম রিলেটেড কি কি প্রবলেম এর মধ্যে আছো তা আগে থেকে সলভ করে ফেল। "পড়া লেখা নিয়ে অনুপ্রেরণার গল্প "
আমাদের চাওয়া
আমরা বাঙালী ব্লগের পক্ষ থেকে আমি অন্তর, তোমাদের কাছে আমার চাওয়া যে, এই আর্টিকেল টি তোমার সকল বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিও । তোমরা যখন এক একটা শেয়ার করো না সেগুলো আমার জন্য অনেক মোটিভেশন স্বরূপ।
0 Comments: