মিরপুর উপজেলার মানচিত্র
মিরপুর উপজেলা এটি কুষ্টিয়া জেলার একটি উপজেলা বা থানা ।
মিরপুর প্রথম থানা গঠিত হয় ১৮৮৫ সালে । এবং পরবর্তী ১৯৮৩ সালে ১ আগস্ট এই থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ।
|
কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলা |
মিরপুর উপজেলার সকল তথ্য |
অবস্থান |
২৩°৪৫´ থেকে ২৪°০০´ উত্তর অক্ষাংশ পূর্ব দেশ |
আয়তন |
মোট ২৯৬.৩১ বর্গ কি.মি. বা ১১৪.৪১ বর্গমাইল |
মোট জনসংখ্যা | ৩,১৫,০০০ |
মুসলিম | ২,৭৮,৭৫৭ |
হিন্দু | ৬,২৫২ এবং অন্যান্য ৮০ |
মোট জনঘনত্ব | ৯৫০/বর্গকিমি (২,৫০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | মোট ৮৭% |
বিভাগীয় কোড | ৪০৫০৯৪ |
হাসপাতাল সমূহ | ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং অনান্য বেসরকারি ক্লিনিক |
নদী সমূহ | পদ্মা, কুমার নদ, গড়াই নদী এবং সাগরখালী উল্লেখযোগ্য |
দর্শনীয় স্থান | বি এ ডি সি ফার্ম, ভগবান নিবাস - আমলা, মিরপুর কুষ্টিয়া |
মিরপুর উপজেলার সকল ইউনিয়ন সমূহ |
০১. | চিথলিয়া ইউনিয়ন |
০২. | বহলবাড়িয়া ইউনিয়ন |
০৩. | তালবাড়ীয়া ইউনিয়ন |
০৪. | বারুইপাড়া ইউনিয়ন |
০৫ | ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন |
০৬. | ধুবইল ইউনিয়ন |
০৭. | সদরপুর ইউনিয়ন |
০৮. | ছাতিয়ান ইউনিয়ন |
০৯. | পোড়াদহ ইউনিয়ন |
১০. | কুর্শা ইউনিয়ন |
১১. | মালিহাদ ইউনিয়ন |
১২. | আমবাড়ীয়া ইউনিয়ন |
১৩. | আমলা ইউনিয়ন |
মিরপুর উপজেলার মোট ১৩ টি ইউনিয়ন
|
মিরপুর উপজেলার বিশিষ্ট ব্যাক্তি গন |
১। ড.রাধা বিনোদ পাল: বিখ্যাত আইনবিদ, কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
২য় মহাযুদ্ধের সময় হেগের আন্তর্জাতিক আদালতের অন্যতম প্রধান বিচারক ছিলেন।
২। মোঃ আফতাব উদ্দিন খান: মুক্তিযুদ্ধের আন্যতম সংগঠক,
কুষ্টিয়া জেলার সর্ববৃহত গেরিলা যুদ্ধের নেতৃত্ব প্রদানকারী গেরিলা কমান্ডার।
এই যুদ্ধে ২৬ নভেম্বর ভোর ৫টায় উভয় পক্ষ পরস্পর মুখোমুখি হয়।
৬ ঘণ্টাব্যাপী তুমুল যুদ্ধের পর পাকবাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়।
এ যুদ্ধে ৬০ জন পাক সৈন্য নিহত হয়।
৮ ডিসেম্বর ভোরে E-9 এর গ্রুপ কমান্ডার আফতাব উদ্দিন খান ১৭০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে
মিরপুর থানায় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা গান স্যালুটের মাধ্যমে উত্তোলন করেন।
৩। কাজী আরিফ: মুক্তিযুদ্ধের আন্যতম সংগঠক। বর্তমান তার নামে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর হাইওয়ে কচুবাড়ীয়া গ্রামের এক সড়ক তার নামে ভূষিত করা হয় ।
বর্তমান সড়ক টির নাম কাজী আরিফ সড়ক । |
অর্থনীতি ব্যবস্থা
মিরপুর উপজেলার মানুষের কৃষিকাজ হল জীবিকা নির্বাহের প্রধান মাধ্যম। এছাড়াও জেলে, শ্রমিক, চাকরি জিবি,ব্যবসায়ী ইত্যাদি পেশার রয়েছে৷ , নতুন করে এখানে ছোট ও মাঝারি মানের শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। এর মধ্যে অন্যতম অঞ্জনগাছী গ্রামের মাছের হ্যাচারি, ও পারটেক্স ফ্যাক্টরি, এছাড়াও অনান্য পোল্ট্রি খামার, বেকারি,রাইচ মিল ইত্যাদি বিদ্যমান ।
শিক্ষা ব্যবস্থা
শিক্ষার দিক থেকে মিরপুর উপজেলা অনেক এগিয়ে আছে ৷ মিরপুর উপজেলাতে ছোট বড় মিলে অনেক গুলো স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা রয়েছে । এর মধ্যে প্রাচীন তম স্কুলের নাম হলো আমলা সদরপুর বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
বর্তমান মিরপুর উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই উন্নত । মানুষের চলাচল করার জন্য বিভিন্ন উপযোগী যানবাহন রয়েছে । তবে বর্ষা কালে বেশকিছু গ্রামের রাস্তা বৃষ্টির ফলে কাদা হয়ে যায়। তাছাড়া শহরের রাস্তা গুলোর অবস্থা অনেক টা ভালো। এবং এসকল রাস্তায় অনেক ধরনের গাড়ি চলাচল করে। যেমন: বাস,টাক,অটো,সিএনজি, পাখি-ভ্যান সহ নানা ধরনের গাড়ি
0 Comments: