বাগেরহাট জেলার নামকরণের প্রাচীন ইতিহাস এবং জনপ্রিয় খাবার ও স্থান সমূহ WeBangali.com( WB)

বাগেরহাট জেলার নামকরণের প্রাচীন ইতিহাস এবং জনপ্রিয় খাবার ও স্থান সমূহ WeBangali.com( WB)

 বাগেরহাট জেলার নামকরণের  

প্রাচীন ইতিহাস এবং জনপ্রিয় খাবার ও স্থান সমূহ 

বাগেরহাট জেলার নামকরণ ও প্রাচীন ইতিহাস এবং জনপ্রিয় খাবার ও স্থান সমূহ
বাগেরহাট জেলার প্রাচীন ইতিহাস ও তার সূচনা 


WB: Bagherhat Zilla 

কথায় আছে যে , "সুন্দরবনে বাঘের বাস,

  দাড়টানা ভৈরব পাশ ।

  সবুজ শ্যামলে ভরা নদী, 

বাঁকে বসতো যে হাট তার নাম বাগের হাট। 


বাগেরহাট জেলার নাম করন কার নামে ? 

এক সময় বাগেরহাটের নাম ছিল খলিফাতাবাদ বা প্রতিনিধির শহর । খানজাহান আলী (রঃ) গৌড়ের সুলতানদের প্রতিনিধি হিসেবে এ অঞ্চল শাসন করতেন। আবার কেউ কেউ মনে করেন যে, "বরিশালের শাসক আঘা বাকের এর নামানুসারে বাগেরহাট হয়েছে।"


বাগেরহাট জেলার নামকরণ 

 কেউ বা বলে যে , "পাঠান জায়গীদার বাকির খাঁ এর নামানুসারে বাগেরহাট হয়েছে।"  আবার কারো মতে, "বাঘ শব্দ হতে বাগেরহাট নাম হয়েছে।"   জনশ্রুতি আছে খানজাহান আলী (রঃ) এর একটি বাগ(বাগান, ফার্সী শব্দ) বা বাগিচা ছিল। এ বাগ শব্দ হতে বাগেরহাট। আবার কারো মতে, " বাগেরহাটের নদীর বাঁকে হাট বসতো বিধায় বাঁকেরহাট নাম করন করা হয়েছে । আর তারপর বাঁকেরহাট থেকে  বাগেরহাট নামে ভূষিত করা হয়েছে ।




বাগেরহাটের জেলার বিখ্যাত খাবার সমূহ 



১।চিংড়ি । 


২।সুপারি । 




বাগেরহাটের বিখ্যাত স্থান সমূহ 


০১। ষাট গম্বুজ মসজিদ।


০২। খানজাহান আলীর (রহ.) মাজার । 


০৩।  সিঙ্গাইর মসজিদ।


০৪।  বিবি বেগনী মসজিদ।


০৫। চুনখোলা মসজিদ।


০৬। পীর আলী মুহাম্মদ তাহেরের সমাধি।


০৭। এক গম্বুজ মসজিদ।


০৮।  নয় গম্বুজ মসজিদ।


০৯। সাবেক ডাঙ্গা পুরাকীর্তি।


১০।  রণবিজয়পুর মসজিদ।


১১। জিন্দাপীর মসজিদ।


১২।  রেজা খোদা মসজিদ।


১৩। খানজাহানের বসতভিটা।


১৪।  ঢিবি।


১৫। কোদলা মঠ।


১৬। ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী শহীদ কৃষক রহিমুল্লাহর বাড়ি।


১৭। মোরেলের স্মৃতিসৌধ।


১৮। ১৮৬৩ সালে তৎকালীন এসডিও মংলা পোর্ট।


১৯। চিলা চার্চ।


২০। কবি রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর সমাধি।


২১। প্রফুল্ল ঘোষের বসতবাড়ি।


২২। নীলসরোবর।


২৩।   জমিদার ক্ষিতিষ চন্দ্রের বসতবাড়ির ধ্বংসাবশেষ।


২৪। শাহ আউলিয়াবাগ মাজার।


২৫। হজরত খানজাহান আলীর (রহ.) সহচর পীর শাহ আউলিয়ার মাজার।


২৬। নাটমন্দির।


২৭। রামজয় দত্তের কাছারিবাড়ি।


২৮। ব্রিটিশ সেনাদের পর্যবেক্ষণ টাওয়ার।


২৯। কৃষ্ণমূর্তি।


৩০। গোপাল জিউর মন্দির।


৩১। লাউপালা।


৩২। যাত্রাপুর।


৩৩। দুবলার চর।


৩৪। কটকা।


৩৫। কচিখালি।


৩৬। সুন্দরবন।

Bagherhat Zilla NamKoron

উপরে দেওয়া সকল স্থান গুলো খুবই জনপ্রিয় । যা বাগেরহাট জেলা কে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে । এছাড়াও আরও অনেক অনেক স্থান আছে যা প্রাচীন সভ্যতার সৃতি বহন করে । আর এর জন্যই সকল প্রকার মানুষকে মুগ্ধ করেছে এই দর্শনীয় স্থান গুলো ।আর এখানে  প্রত্যেক বছর হাজারো লোক ঘুরতে আসে । এদের মধ্যে দেশ ও দেশের বাইরের মানুষ-ও আছে । 


সাতক্ষীরা জেলার নামকরণের প্রাচীন ইতিহাস ও জনপ্রিয় খাবার এবং স্থান সমূহ WB

সাতক্ষীরা জেলার নামকরণের প্রাচীন ইতিহাস ও জনপ্রিয় খাবার এবং স্থান সমূহ WB

সাতক্ষীরা জেলার বিখ্যাত ও জনপ্রিয় খাবার ও স্থান সমূহ এবং এই জেলার নাম করন ও প্রাচীন ইতিহাস 

সাতক্ষীরা জেলার বিখ্যাত ও জনপ্রিয় খাবার ও স্থান সমূহ
সাতক্ষীরা জেলার বিখ্যাত ও জনপ্রিয় খাবার ও স্থান সমূহ


WB: সাতক্ষীরা জেলার নামকরণের প্রাচীন ইতিহাস

 খুলনা বিভাগের একটি জেলার নাম সাতক্ষীরা । এটি খুলনা ও যশোর শহরের পাশের শহর । 


আপনি এটি  শুনে নিশ্চয়ই অবাক হবেন যে , এই সাতক্ষীরা জেলার আদি নাম ছিল সাতঘরিয়া । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময় বিষ্ণুরাম চক্রবর্তী নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কর্মচারী হিসেবে ১৭৭২ সালে নিলামে এই পরগনা কিনে গ্রাম স্থাপন করেন। তাঁর পুত্র প্রাণনাথ চক্রবর্তী সাতঘর কুলীন ব্রাক্ষ্মণ এনে এই পরগনায় প্রতিষ্ঠিত করেন তা থেকে সাতঘরিয়া নাম হয়।


সাতক্ষীরা জেলার বিখ্যাত খাবার সমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম রয়েছে "সন্দেশ" । আসলে সাতক্ষীরা জেলার যে সন্দেশ গুলো বানানো হয় সেটা সম্পূর্ণ খাটি গরুর দুধের ছানা দিয়ে । এবং তাদের কিছু গোপন ফরমুলার মাধ্যমে । আর এই জন্য সাতক্ষীরার সন্দেশ এতো জনপ্রিয় সবার কাছে । 



সাতক্ষীরা জেলার বিখ্যাত বা জনপ্রিয় স্থান সমূহ 

০১।  সুন্দরবন।


০২।  মান্দার বাড়িয়া সমুদ্র সৈকত।


০৩৷  যশোরেশ্বরী মন্দির।


০৪।  হরিচরণ রায় চৌধুরীর জমিদার বাড়ি ও জোড়া শিব মন্দির।


০৫।  যিশুর গির্জা।


০৬।  মোজাফফর গার্ডেন অ্যান্ড রিসোর্ট।


০৭।  মায়ের মন্দির।


০৮।  মায়ি চম্পার দরগা।


০৯।  জোড়া শিবমন্দির।


১০।  শ্যামসুন্দর মন্দির।


১১।  চেড়াঘাট কায়েম মসজিদ।


১২৷  তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ।


১৩।  গুনাকর কাটি মাজার।


১৪।  বুধহাটার দ্বাদশ শিবকালী মন্দির।


১৫।  টাউন শ্রীপুর।


১৬।  দেবহাটা থানা।


১৭।  প্রবাজপুর মসজিদ।


১৮।  নলতা শরীফ। 


About Satkhira District WB Update 

এসকল স্থান গুলোর জনপ্রিয়তার দিক থেকে অনেক এগিয়ে আছে । উপরের মোট ১৮ টি স্থান যা সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন ঐতিহ্য এর সৃতি বহন করে । এছাড়াও সাতক্ষীরা জেলাতে বিভিন্ন ছোট বড় পার্ক রয়েছে সেগুলো-ও সাতক্ষীরা বাসি দের প্রিয় স্থান হিসাবে ধরা হয়ে থাকে । কিন্তু আজ কে উপরে যে কয়টা স্থানের নাম উল্লেখ করেছি তা প্রায় সবার কাছে চেনা ও অতি-জনপ্রিয় স্থান গুলোর মধ্যে । এই সকল স্থানে প্রত্যেক বছর হাজারো লোক ঘুরে বেড়াতে আসে এই সকল সাতক্ষীরার বিখ্যাত স্থান গুলো দেখতে   । 


মাগুরা জেলার নামকরণ ও প্রাচীন ইতিহাস, এবং বিখ্যাত ও জনপ্রিয় খাবার এবং স্থান সমূহ WeBangali

মাগুরা জেলার নামকরণ ও প্রাচীন ইতিহাস, এবং বিখ্যাত ও জনপ্রিয় খাবার এবং স্থান সমূহ WeBangali

 মাগুরা জেলার নামকরণ ও প্রাচীন ইতিহাস এবং বাগুরা জেলার বিখ্যাত ও জনপ্রিয় খাবার এবং স্থান সমূহ । 

মাগুরা জেলার নামকরণ ও প্রাচীন ইতিহাস এবং বাগুরা জেলার বিখ্যাত ও জনপ্রিয় খাবার এবং স্থান সমূহ
মাগুরা জেলার  জনপ্রিয় খাবার এবং স্থান সমূহ 

মাগুরা জেলার নামকরণ ও প্রাচীন ইতিহাস ও তার সূচনা 

আপনি কি জানেন ? আজকের যেখানে মাগুরা জেলা শহর গড়ে ওঠেছে প্রাচীনকাল থেকেই এর গুরুত্ব অত্যধিক ছিল। কখন থেকে মাগুরা জেলার না মাগুরা হয়েছে তার সঠিক হিসেব মিলানো খুবই কষ্ট কর ।



 মাগুরা প্রাচীন আমলের একটি গ্রাম । আর মাগুরা দু’টি অংশে বিভক্ত ছিল। মহকুমা সদরের পূর্বে মাগুরা ও পশ্চিমে ছিল দরি মাগুরা । এখন জানব এই দরি শব্দের অর্থ কি  ?


 প্রকৃতি পক্ষে দরি শব্দের অর্থ হলো মাদুর বা সতরঞ্জি। একটা সময় দরি মাগুরায়(দরি মাগুরা একটি প্রাচীন শহর) মাদুর তৈরি সম্প্রদায়ের লোক বাস করতো । আর এই মাদুর তৈরি কারীদের অনুসারে মাগুরা জেলার প্রাচীন  নাম দেওয়া হয়েছিল দরি মাগুরা ।



 ধর্মদাস নামক এক জনৈক মগ আরাকান খেকে আসে । এবং সেখানে এসে  আগুরা শহরের পূর্ব কোণের সোজাসুজি গড়াই নদীর তীরে খুলুম বাড়ি মৌজা সহ অনেকটা জায়গা দখল করে । বিভিন্ন লোকে তাকে মগ জায়গীর বলে আখ্যায়িত করে ছিল। অনেকের মতে বোঝা যায় যে,  প্রধানত মগরা থেকে মাগুরা শহর নামের উৎপত্তি । 




বিভিন্ন লোক দের মুখে থেকে শোনা যায় যে, এককালে মাগুরা এলাকায় একটা বড় বিল ছিল । আর সেই বিলে পাওয়া যেতো প্রচুর পরিমাণ  মাগুর মাছ । এবং এই মাগুর মাছের নাম থেকেই মাগুরা নামের উৎপত্তি হলেও হতে পারে । আসলে মাগুরা নামের উৎপত্তি নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে । যা আজও সঠিক ভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি । এবং পরবর্তীত দেশ স্বাধীন হবার কিছু বছর পর, অর্থাৎ   ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ মাগুরা মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়। 



বাগুরার বিখ্যাত ও জনপ্রিয় খাবার হলো "রসমালাই"  । আমরা প্রায় সবাই কম বেশি রসমালাই এর নাম তো নিশ্চয়ই শুনেছি এবং খেয়েছি । কিন্তু এটা হয়তো জানতাম না যে , রসমালাই এর জন্য বিখ্যাত ও জনপ্রিয় জেলার নাম হচ্ছে মাগুরা জেলা । এবার জানব মাগুরার জনপ্রিয় স্থান গুলো কি কি ?



মাগুরা জেলার বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় স্থান সমূহ 


০১। রাজা সীতারাম এর রাজপ্রাসাদ । 


০২। সুলতানী আমলে প্রতিষ্ঠিত মাগুরা আঠারখাদা মঠবাড়ি । 


০৩। সিদ্ধেশ্বরী মঠ । 


০৪। ভাতের ভিটা পুরাকীর্তি । 


০৫। শ্রীপুর জমিদারবাড়ি । 


০৬। হজরত পীর মোকাররম আলী শাহ (র:) এর দরগাহ । 


০৭। শত্রুজিৎপুর মদনমোহন মন্দির । 


০৮।  নেংটা বাবার আশ্রম । 


উপরের যে কয়টা স্থানের নাম আমি বলেছি এগুলো সবই বাগুড়ার প্রাচীন ঐতিহ্য বহন করে থাকে । কারণ এসকল স্থান গুলোর বয়স অনেক । উপরে দেওয়া সকল স্থান গুলো খুবই জনপ্রিয় ও বিখ্যাত । যা বাগুরা জেলা কে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে । এছাড়াও আরও অনেক অনেক স্থান আছে যা প্রাচীন সভ্যতার সৃতি বহন করে । আর এর জন্যই সকল প্রকার মানুষকে মুগ্ধ করেছে এই দর্শনীয় স্থান গুলো । আর এখানে  প্রত্যেক বছর হাজারো লোক ঘুরতে আসে । এদের মধ্যে দেশ ও দেশের বাইরের মানুষ-ও আছে । 


 যশোর জেলার বিখ্যাত ও জনপ্রিয় খাবার এবং স্থান সমূহ এবং যশোর জেলার প্রাচীন ইতিহাস WeBangali.com

যশোর জেলার বিখ্যাত ও জনপ্রিয় খাবার এবং স্থান সমূহ এবং যশোর জেলার প্রাচীন ইতিহাস WeBangali.com

 যশোর জেলার বিখ্যাত ও জনপ্রিয় খাবার এবং স্থান সমূহ এবং যশোর জেলার প্রাচীন ইতিহাস 


যশোর জেলার বিখ্যাত ও জনপ্রিয় খাবার এবং স্থান সমূহ এবং যশোর জেলার প্রাচীন ইতিহাস
যশোর জেলার প্রাচীন ইতিহাস ও তার সূচনা 


 যশোর জেলার নামকরণ ও প্রাচীন ইতিহাস 


আপনি কি জানেন ? সর্বপ্রথম ১৭৮১ সালে যশোর একটি পৃথক জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, এবং এটিই হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম জেলা। 

অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রথম জেলা হচ্ছে যশোর জেলা ।



 বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম স্বাধীন হওয়া জেলাটি যশোর জেলা । আজ পর্যন্ত যশোর নামের উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন লোকের বিভিন্ন মতামত পাওয়া যায়। যশোর (জেসিনরে) আরবি শব্দ যার অর্থ সাকো। অনুমান করা হয় "কসবা" নামটি পীর খানজাহান আলীর দেওয়া (প্রায় ১৩৯৮ খৃঃ)। আসলে এককালে যশোর জেলা সর্বত্র নদী নালায় পরিপূর্ণ ছিল। পূর্বে নদী বা খালের উপর বিভিন্ন ছোট বড় সাকো নির্মিত করা হতো। 


খানজাহান আলী বাঁশের সাকো নির্মাণ করে ভৈরব নদী পার হয়ে মুড়লীতে আগমন করেন বলে জানা যায় বিভিন্ন আগে কার মানুষদের কাছ থেকে । আর এই বাঁশের সাকো থেকে যশোর নামের উৎপত্তি। তবে এই কথাটির বা মতামতের সমর্থকদের সংখ্যা খুবই কম।



 ইরান ও আরব সীমান্তে একটি স্থানের নাম আছে যশোর যার সাথে এই যশোরের কোন সম্পর্ক স্থাপন করা যায় না। খানজাহান আলীর পূর্ব থেকেই এই যশোর নাম ছিল। অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করেন যে, প্রতাপদিত্যের পতনের পর চাঁচড়ার রাজাদের যশোরের রাজা বলা হত। কেননা তারা যশোর রাজ প্রতাপাদিত্যের সম্পত্তির একাংশ পুরস্কার স্বরূপ অর্জন করেছিলেন। এই মতও সঠিক বলে মনে হয়।



 জে, ওয়েস্টল্যাণ্ড তাঁর যশোর প্রতিবেদনের ১৯৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন, রাজা প্রতাপাদিত্য রায়ের আগে জেলা সদর কসবা মৌজার অর্ন্তভুক্ত ছিল। বনগাঁ-যশোর পিচের রাস্তা ১৮৬৬-১৮৬৮ কালপর্বে তৈরী হয়। যশোর-খুলনা ইতিহাসের ৭৬ পাতায় লেখা আছে “প্রতাপাদিত্যের আগে লিখিত কোন পুস্তকে যশোর লেখা নাই”। সময়ের বিবর্তনে নামের পরিবর্তন স্বাভাবিক।




যশোর জেলার বিখ্যাত খাবার সমূহ


১ । খই । 

২ । খেজুরের গুড় । 

৩ । জামতলার বিখ্যাত মিষ্টি । 


এই তিনটি খাবার পুরো যশোর জেলার মানুষের কাছে খুবই চেনা পরিচিত আর অনেক জনপ্রিয় । 


যশোর জেলার বিখ্যাত ও জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান গুলো হলো, 

০৩।   ভরত ভায়না মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি । 

০৪।   ভাতভিটা । 

০৫।   সীতারাম রায়ের দোলমঞ্চ । 

০৬।   গাজী-কালু-চম্পাবতীর কবর । 

০৭।   বাঘানায়ে খোদা মসজিদ । 

০৮।   পাঠাগার মসজিদ । 

০৯।   মনোহর মসজিদ । 

১০।   শেখপুরা জামে মসজিদ । 

১১।   শুভরাঢ়া মসজিদ । 

১২।   মীর্জানগর মসজিদ । 

১৩।   ঘোপের মসজিদ । 

১৪।   শুক্কুর মল্লিকের মসজিদ । 

১৫।   নুনগোলা মসজিদ । 

১৬।   কায়েমকোলা মসজিদ । 

১৭।   বালিয়াডাঙ্গা সর্বজনীন পূজামন্দির । 

১৮।   দশ মহাবিদ্যামন্দির । 

১৯। অভয়নগর মন্দির । 

২০।   পঞ্চরত্ন মন্দির । 

২১। ভুবনেশ্বরী দেবীর মন্দির । 

২২। রায়গ্রাম জোড়বাংলা মন্দির  । 

২৩। লক্ষ্মীনারায়ণের মন্দির । 

২৪। মুড়লি শিবমন্দির । 

২৫। জোড়বাংলার দশভুজার মন্দির । 

২৬। চড়ো শিবমন্দির । 

২৭। নওয়াপাড়া পীরবাড়ী । 

২৮। পুড়াখালী বাওড়

২৯। খড়িঞ্চা বাওড়



উপরের মোট ২৯ টি দর্শনীয় স্থান যা যশোর জেলার মানুষের কাছে এবং অনান্য জেলার মানুষের কাছে অতি চেনা স্থান । এ যশোর জেলার এ সকল বিখ্যাত জায়গায় প্রতিবছর হাজার হাজার দেশ ও দেশের বাইরের লোকদের সমাগম হয় । 


ঝিনাইদহ জেলার নাম করন ও জনপ্রিয় খাবার এবং বিখ্যাত স্থান সমূহ webangali.com

ঝিনাইদহ জেলার নাম করন ও জনপ্রিয় খাবার এবং বিখ্যাত স্থান সমূহ webangali.com

ঝিনাইদহ জেলার বিখ্যাত স্থান সমূহ কি?  ঝিনাইদহ জেলার জনপ্রিয় খাবার গুলো কি কি ? ঝিনাইদহ জেলার নামকরণ ও প্রাচীন ইতিহাস 

ঝিনাইদহ জেলার নাম করন ও জনপ্রিয় খাবার এবং বিখ্যাত স্থান সমূহ webangali.com
ঝিনাইদহ জেলার নাম করন ও জনপ্রিয় খাবার এবং বিখ্যাত স্থান সমূহ webangali.com


ঝিনাইদহ জেলার নাম করন 

কিছু আগেকার মানুষ দের কাছ থেকে যানা যায় যে, প্রাচীন কালে (বর্তমান ঝিনাইদহের উত্তর পশ্চিম দিকে) নবগঙ্গা নদীর ধারে ঝিনুক কুড়ানো শ্রমিকের বসতি গড়ে ওঠে । কলকাতা থেকে ব্যবসায়ীরা ঝিনুকের মুক্তা সংগ্রহরের জন্য এখানে ঝিনুক কিনতে আসতো । সে সময় ঝিনুক যে স্থান টিতে বেশি পরিমাণ পাওয়া যেত সেই স্থান কে ঝিনুকদহ বলা হত।




আবার  অনেকের মতে ঝিনুককে আঞ্চলিক ভাষায় ঝিনেই বা ঝিনাই বলে ডাকা হতো । আর দহ অর্থ হলো  বড় জলাশয় । আর এই দহ একটি ফার্সী শব্দ যার অর্থ হলো গ্রাম । সেই অর্থে যদি আমরা বলি তাহলে সম্পূর্ণ  ঝিনুক দহ এর অর্থ বলতে বোঝাবে ঝিনুকের জলাশয় অথবা ঝিনুকের গ্রাম । 


এই ঝিনুক এবং দহ থেকেই ঝিনুকদহ নামটি রাখা হয় যা  পরবর্তী কিছু সময় পরে ঝিনেইদহ নামে পরিচিতি পাই ৷ কিন্তু বর্তমানে এখন ঝিনেইদহ থেকে  রূপান্তরিত হয়ে আজকের এই দিনে হয়েছে এই ঝিনাইদহ জেলা ।




ঝিনাইদহ জেলার বিখ্যাত খাবার গুলো হলো 


১। হরি ও

২।   ম্যানেজারের ধান । 




ঝিনাইদহ জেলার বিখ্যাত স্থান সমূহ কি কি ? 


০১। নলডাঙ্গা মন্দির।


০২। মিয়ার দালান।


০৩। কেপি বসুর বাড়ি।


০৪। গোড়ার মসজিদ।


০৫। মিয়ার দালান।


০৬। গলাকাটা মসজিদ।


০৭। জোড়বাংলা মসজিদ।


০৮। সাতগাছিয়া মসজিদ।


০৯। জাহাজঘাটা হাসিলবাগ গাজী-কালু-চম্পাবতীর মাজার।


১০। বলু দেওয়ানের বাজার।


১১। দত্তনগর কৃষি খামার।


১২। শৈলকুপা শাহী মসজিদ ও মাজার।


১৩। শৈলকুপা রামগোপাল মন্দির।


১৪। মরমি কবি পাঞ্জু শাহের মাজার।


১৫। শৈলকুপা শাহী মসজিদ।


১৬। কামান্না ২৭ শহীদের মাজার।


১৭। সিরাজ সাঁইয়ের মাজার।


১৮। ঢোল সমুদ্র দীঘি।


১৯। মল্লিকপুরের এশিয়ার বৃহত্তম বটগাছ।



উপরের মোট ১৯ টি স্থান যা ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন ঐতিহ্য বহন করে । এছাড়াও ঝিনাইদহ জেলাতে বিভিন্ন ছোট বড় পার্ক রয়েছে সেগুলো-ও ঝিনাইদহ বাসি দের প্রিয় স্থান হিসাবে ধরা হয়ে থাকে । কিন্তু আজ কে যে উপরে যে কয়টা স্থানের নাম উল্লেখ করেছি তা প্রায় সবার কাছে চেনা ও অতি-জনপ্রিয় স্থান । এই সকল স্থানে প্রত্যেক বছর হাজারো লোক ভ্রমণ করতে আসে । কেউ বা নিজের দেশের লোক আবার কেউ বা অন্য দেশের লোক । 


কুষ্টিয়া জেলার নামকরণ ও প্রাচীন ইতিহাস, Kushtia Zilla All Details

কুষ্টিয়া জেলার নামকরণ ও প্রাচীন ইতিহাস, Kushtia Zilla All Details

 Kushtia Zilla All Details | কুষ্টিয়া জেলার সকল তথ্য 

কুষ্টিয়া জেলার নামকরণ ও প্রাচীন ইতিহাস, Kushtia Zilla All Details
কুষ্টিয়া জেলার নামকরণ ও প্রাচীন ইতিহাস,
Kushtia Zilla All Details

কুষ্টিয়া জেলার নামকরন কিভাবে করা হয়  ?  কবে করা হয় ? 

আপনি এটি পড়ে সত্যিই অবাক হবেন যে , আজও কুষ্টিয়া জেলার নামকরণ নিয়ে নানা কাহিনী প্রচলিত আছে  । কারোর মতে কুষ্টিয়ায় এক সময় কোস্টার চাষ করা হতো (কুষ্টিয়া বাসিরা পাট কে আঞ্চলিক ভাষায় কোস্টা বলে থাকে ) । আর প্রায় মানুষ ধারণা করে যে,  এই কোস্ট শব্দ থেকে কুষ্টিয়ার উৎপত্তি হয়েছে । কিন্তু কুষ্টিয়া জেলার আদি নাম ছিল নদীয়া জেলা৷ হয়তো আপনি এর আগেও কোথাও না কোথাও নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন । 


 হেমিলটনের গেজেটিয়ারে উল্লেখ্য করেন যে, এক সময় কুষ্টিয়া জেলাকে স্থানীয় জনগণ একে শুধু  কুষ্টি বলে ডাকত। এমনকি এখনো গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ কুষ্টিয়া কে সংক্ষেপে শুধুই কুষ্টি বলে ডাকে । আর ধারণা করা হয় যে,  কুষ্টি শব্দ থেকেই কুষ্টিয়া নাম করণ করা হয়েছে । আর এই কুষ্টিয়া জেলা ১৯৮৪ সালে মোট ৬ টি থানা নিয়ে এই জেলা টি গঠিত হয়।




কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত খাবার সমূহ কি কি  ? 

কুষ্টিয়া জেলার মানুষের জনপ্রিয় খাবার হলো


১।  তিলের খাজা এবং 

২।  কুলফি মালাই (একটি জনপ্রিয় আইসক্রিম) । 


আমার জানা মতে, কুষ্টিয়া জেলায় যে মানুষ গুলো একবারও হলেও ঘুরতে এসেছে তারা সবাই তিলের খাজা ও কুলফি মালাই এর সম্পর্কে জানেন । কারণ এই তিলের খাজার জন্য কুষ্টিয়া জেলা সারা বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয় । 



কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত স্থান সমূহ 


০১। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিলাইদহের কুঠিবাড়ি । 


০২।   বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের মাজার । 


০৩। মীর মশাররফ হেসেনের বাস্তুভিটা । 


০৪। ঝাউদিয়ার শাহী মসজিদ ৷


০৫। আড়-য়া পাড়ার নফর শাহের মাজার । 


০৬। কুমারখালী বাজারে দরবেশ সোনা বন্ধুর মাজার৷ 


০৭। সাফিয়ট গ্রামের জঙ্গলী শাহের মাজার । 


০৮। জর্জবাড়ী । 


০৯। মুহিষ কুন্ডি নীলকুঠি । 


১০। কালীদেবী মন্দির । 


১১। মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘মুক্তবাংলা’ । 


১২। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় । 


১৩। রেইনউইক বাঁধ  । 


১৪। পাকশী রেল সেতু । 


১৫। হরিপুর ব্রীজ । 


১৬। পাকশী ব্রীজ । 

 

১৭।   বিএডিসি ফার্ম আমলা (আমলার ফার্ম) ।


১৮।   সুজনের বিল(অঞ্জনগাছী,মিরপুর,কুষ্টিয়া) । 


১৯।  খোকসা উপজেলার ইউটিউব গ্রাম ।


২০।  কুষ্টিয়া বাইপাস । 


All Details Of Kushtia District, 

এছাড়াও কুষ্টিয়া জেলায় ছোট বড় পার্ক সহ আরও অনেক অনেক সুন্দর ও মন রঞ্জন করা স্থান রয়েছে এর মধ্যে রয়েছে কুষ্টিয়া সদর পৌরসভা, জিয়া পার্ক,শিশু পার্ক, ডিসি কোর্ট ইত্যাদি । 


এসকল দর্শনীয় স্থান গুলোতে বিভিন্ন সময়ে যেমন; কোনো বিশেষ দিনে সেটা ঈদ হোক বা পহেলা বৈশাখ,বা পূজার  দিন এমন কি এই সব সাধারণ দিনেও বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ , এবং স্টুডেন্ট রা তাদের বিশেষ অবসর সময়ে এই সকল স্থান গুলোতে ঘুরতে চলে আসে । প্রিয় জন দের সাথে কিছু আনন্দময় মুহুর্ত কাটানোর জন্য৷